খবর

ফ্রিল্যান্সিং আয়ে ১০ শতাংশ কর আদায়ের খবর সঠিক নয়

ফ্রিল্যান্সারদের ফ্রিল্যান্সিং আয়ে ১০ শতাংশ কর আদায়ের খবর সঠিক নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক। বিষয়টি স্পষ্ট করতে ১ অক্টোবর একটি নির্দেশনা জারি করা হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ মুখপাত্র।  

ফিল্যান্সিং খাতে বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ নিয়োজিত আছেন, প্রতিনিয়ত বাড়ছে এই সংখ্যা।   

তিনি জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়। সেখানে আয়কর আইন অনুযায়ী, সেবা চার্জ বা রেভিনিউ শেয়ারিং থেকে পাওয়া রেমিট্যান্সের অর্থের ওপর উৎসে কর কর্তনের কথা বলা হয়েছে। ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের কথা বলা হয়নি। এখানে সেবা খাত বলতে বিদেশি পণ্য পরিবহন করে বাংলাদেশের শিপিং লাইন কর্তৃক অর্জিত আয় ও ইনডেন্টিং ব্যবসার আয়কে বুঝানো হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই ফ্রিল্যান্সারদের রেমিট্যান্সের ওপর কর আরোপ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে কথা বলেও বাংলাদেশ ব্যাংক নিশ্চিত হয়েছে। 

এর আগে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ “আয়কর আইন, ২০২৩” এর ১২৪ ধারা অনুযায়ী সেবা, রেভিনিউ শেয়ারিং বাবদ পাওয়া রেমিট্যান্সের ওপর উৎসে কর আদায় করতে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়জিত অনুমোদিত ডিলার ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জাতীয় রাজস্ব আহরণের স্বার্থে নির্দেশনাটি যথাযথভাবে পরিপালন করতে বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনা চেয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর কর কমিশনারের কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়, বিদেশে থেকে পাঠানো অর্থ ব্যক্তির হিসাবে পরিশোধ করার আগে জমাকৃত অর্থের ও ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে নেওয়ার বিধান করা হয়েছে। কর বাবদ কেটে নেওয়া অর্থ ব্যাংক ঢাকার কর অঞ্চল-১১ এর অনুকূলে নিয়ম অনুযায়ী জমা দেবে।

এনবিআর সূত্র জানায়, নতুন আয়কর আইনেও ফ্রিল্যান্সারদের আয় করমুক্ত রাখা হয়েছে। ফলে ফ্রিল্যান্সারদের টাকা দেশে রেমিট্যান্স আকারে এলেও কোনো কর দিতে হবে না। তবে বিদেশ থেকে আসা কোনো সেবা, রেভিনিউ শেয়ারিং ইত্যাদি বিদেশ হতে আয় হিসেবে আসা রেমিট্যান্স থেকে উৎসে কর কর্তন করা হবে।

অনলাইন শ্রমবাজার বা ফ্রিল্যান্সিং খাতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। সারাবিশ্বের এ শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অংশ প্রায় ১৬ শতাংশ। তবে এ খাতের কর্মী হিসাবে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও আয়ের দিক থেকে ৮ম। বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজার দেড় ট্রিলিয়ন ডলার। তাই এই বাজার আরও সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।

5/5 - (5 votes)

প্রাসঙ্গিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page